“যুব জলবায়ু পরিবর্তনকর্মী: নগর স্থায়িত্বের জন্য স্থানীয় পদক্ষেপকে উদ্দীপিত করা”
৩১ অক্টোবর ২০২৪
জাতিসংঘ গঠিত হয়েছে বিশ্বের দ্বারা, বিশ্বের জন্য। ১৯৪৫ সাল থেকে, এটি এমন একটি স্থান হিসেবে কাজ করে আসছে, যেখানে বৈশ্বিক সমস্যার বৈশ্বিক সমাধানের জন্য দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়।
এমন সমাধান, যা উত্তেজনা কমায়, সেতুবন্ধন তৈরি করে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করে।
এমন সমাধান, যা দারিদ্র্য নির্মূল করে, টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করে এবং সবচেয়ে দুর্বলদের পাশে দাঁড়ায়।
এই সমাধানগুলো সেইসব মানুষের জন্য জীবনরক্ষাকারী সাহায্য নিয়ে আসে, যারা সংঘাত, সহিংসতা, অর্থনৈতিক সংকট এবং জলবায়ু দুর্যোগের মধ্য দিয়ে বেঁচে আছেন।
এমন সমাধান, যা নারী ও কন্যাশিশুদের জন্য ন্যায়বিচার ও সমতার পথ সুগম করে।
১৯৪৫ সালে কল্পনা করা যায়নি এমন অনেক সমস্যা — জলবায়ু পরিবর্তন, ডিজিটাল প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এবং মহাকাশ — মোকাবিলা করার সমাধানও জাতিসংঘ আজ খুঁজছে।
সেপ্টেম্বরে, সাধারণ পরিষদ ভবিষ্যতের জন্য একটি চুক্তি গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে গ্লোবাল ডিজিটাল চুক্তি ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি ঘোষণা।
এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিগুলো জাতিসংঘ ব্যবস্থাকে পরিবর্তন, সংস্কার এবং পুনর্গঠনে সহায়তা করবে, যাতে এটি আমাদের চারপাশের পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য উপযুক্ত হয় এবং সবার জন্য সমাধান নিয়ে আসে।
কিন্তু আমাদের কাজ সবসময় জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের চিরন্তন মূল্যবোধ এবং নীতিগুলোর ভিত্তিতে চলবে, এবং প্রতিটি মানুষের মর্যাদা ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে।
আজকের সমস্যাসংকুল পৃথিবীতে, শুধু আশা যথেষ্ট নয়।
শান্তি, যৌথ সমৃদ্ধি এবং একটি সমৃদ্ধশালী পৃথিবীর জন্য প্রয়োজন দৃঢ় পদক্ষেপ এবং বহুপাক্ষিক সমাধান।
আশার জন্য প্রয়োজন সকল দেশের একতাবদ্ধ কাজ।
আশার জন্য প্রয়োজন জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ দিবসে, আমি সকল দেশকে আহ্বান জানাই, যেন তারা এই পৃথিবীর জন্য জাতিসংঘের আদর্শ এবং আলোকবর্তিকাকে প্রজ্জ্বলিত রাখে।
(মাহফুজুল ইসলাম)