ট্রান্সজেন্ডারদের সামরিক বাহিনী থেকে বহিষ্কার করবেন ট্রাম্প

প্রতিবেদনে উল্লিখিত প্রস্তাব অনুসারে, ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের সামরিক বাহিনীতে যোগদানের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী যখন নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে এরকম এক সময়ে এল হাজার হাজার সামরিক কর্মীকে বরখাস্ত করার খবর।যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির সামরিক বাহিনী থেকে সকল ট্রান্সজেন্ডার সদস্যকে সরিয়ে দেবেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দ্য টাইমস। বলা হয়েছে, ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশ ব্যবহার করে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এবং তার দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই এটি কার্যকর হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। তবে যেসব ব্যক্তি এরই মধ্যে সামরিক বাহিনীর পদে ছিলেন তাদের চাকরি বজায় রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। জো বাইডেনের সময়ে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।প্রতিবেদনে উল্লিখিত প্রস্তাব অনুসারে, ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের সামরিক বাহিনীতে যোগদানের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী যখন নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে এরকম এক সময়ে এল হাজার হাজার সামরিক কর্মীকে বরখাস্ত করার খবর।ফক্স নিউজের উপস্থাপক পিট হেগসেথকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছেন ট্রাম্প। হেগসেথ এর আগে ‘দুর্বল’ এবং ‘নারীসুলভ’ সামরিক নেতৃত্বের সমালোচনা করেছেন।

ট্রাম্পের পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র দ্য টাইমসকে বলেছে, এই মানুষদের এমন এক সময়ে বাহিনী থেকে সরিয়ে দেয়া হবে যখন সামরিক বাহিনী যথেষ্ট লোক নিয়োগ করতে পারছে না। শুধুমাত্র মেরিন কর্পস তাদের নিয়োগের লক্ষ্য পূরণ করছে এবং যাদের উপর প্রভাব পড়বে তাদের মধ্যে কয়েকজন বেশ উঁচু পদে রয়েছেন।

কিছু সামরিক দাতব্য সংস্থা রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে এই প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে। এলজিবিটিকিউ প্লাস সামরিক কর্মীদের পক্ষে প্রচারণা চালানো সংস্থা মডার্ন মিলিটারি অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকার নির্বাহী পরিচালক র‍্যাচেল ব্রানামান বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম দিন থেকেই যদি এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়, তবে এটি সামরিক প্রস্তুতিতে বাধা দেবে এবং আরো বড় নিয়োগ এবং নিরাপত্তার সংকট তৈরি করবে। এছাড়া এটি প্রতিপক্ষের কাছে আমেরিকার দুর্বলতার ইঙ্গিত দেবে।

তিনি আরো বলেন, সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ যখন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪১ হাজার কম তখন ১৫ হাজারের বেশি সামরিক কর্মীকে হঠাৎ করে বরখাস্ত করা যুদ্ধের ইউনিটগুলোতে প্রশাসনিক বোঝা বাড়াবে, ইউনিটের সংহতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতার ঘাটতি বাড়াবে। এতে উল্লেখযোগ্য আর্থিক ব্যয় হবে। পাশাপাশি অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের ক্ষতি হবে যা পূরণ করতে প্রায় ২০ বছর এবং বিলিয়ন ডলার সময় লাগতে পারে।

তবে ট্রাম্পের মুখপাত্রদের সঙ্গে দ্য টাইমস যোগাযোগ করলেও কোনো মন্তব্য পায়নি।(মাহবুবুল ইসলাম)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *