বাশার কোথায়? সিরিয়ায় গুঞ্জন, সরকারের অস্বীকার

দামেস্কের পরিবেশ এখন বিভ্রান্তি ও আতঙ্কে ভরা। বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি রাজধানীর দিকে এগিয়ে আসছে, অথচ অনেকেই সঠিক পরিস্থিতি জানতে পাচ্ছে না। কয়েকটি এলাকাতে আসাদ পরিবারের ক্ষমতার প্রতীকগুলো উপড়ে ফেলা হয়েছে।সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় দাবি করছে, তারা রাজধানীকে নিরাপদ করতে একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বেষ্টনী তৈরি করছে। কিন্তু সরকারের বাহিনী দেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে বিপ্লবীদের মোকাবেলা করতে পারছে না।

বাশার আল-আসাদের অবস্থান নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তার অবস্থান সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেতে অনেকেই দামেস্কে যাওয়া-আসা করা বিমানগুলোর ব্যপারে খোঁজ নিচ্ছেন। তবে প্রেসিডেন্টের অফিস গুঞ্জন অস্বীকার করে বলছে, তিনি এখনও দামেস্কে আছেন। কিন্তু তার কোন উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে না।

সিরিয়া এখনো এক বিভক্ত দেশ, যেখানে দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের ক্ষত সুস্থ হয়নি। চার বছর ধরে চলা একটি সঙ্কটের পর এখন কিছুটা স্থিতিশীলতা ছিল, তবে এক সপ্তাহ আগের পরিস্থিতি তা বদলে দিয়েছে।

আসাদের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আরব নেতাদের মনোভাব পরিবর্তন হলেও, সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যায়নি। আসাদের উপস্থিতি ছিল অনেকটাই প্রতীকী, যা যুদ্ধের সংকট নিরসনে কিছুটা হলেও স্থিতিশীলতা বজায় রাখছিল। তবে যদি তিনি চলে যান, তাহলে সেই শূন্যতা পূরণের কোনো স্পষ্ট পথ দেখা যাচ্ছে না। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ঐক্য নেই, বরং তারা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে।যে গোষ্ঠীটি আসাদের বিরুদ্ধে নতুন করে বিদ্রোহ শুরু করেছে, তার মূল ভিত্তি চরমপন্থী আল-কায়েদা। যদিও তাদের নেতা অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোকে আশ্বস্ত করেছেন যে তারা তাদের ওপর কোনো মতাদর্শ চাপাবে না, তবুও জনগণের মধ্যে আশঙ্কা রয়ে গেছে।

এখন প্রশ্ন উঠছে, সিরিয়া কি আরো বেশি অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে? বিভিন্ন গোষ্ঠী একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করবে এবং এর ফলে দেশটি আরও বিশৃঙ্খল হয়ে উঠতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, সিরিয়ার জনগণ নতুন এক আশায় একত্রিত হয়েছে — তাদের হারানো গৃহে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন, যা আসাদের কঠোর দমনপীড়ন দ্বারা একসময় ভেঙে পড়েছিল।(মাহমুদুল হাসান)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *