খুরশীদ আলমকে দিয়ে শুরু, শেষ করলেন জেমস

টানা ৯ ঘণ্টা কনসার্ট। মাঝে কোনই বিরতি নেই। শিল্পীরা একে একে এলেন আর দর্শক মাতিয়ে চলে গেলেন। এই সময়ের মধ্যে ১৫ জন সংগীতশিল্পী শুনিয়ে গেলেন প্রায় ৫৫টির বেশি গান। এত দীর্ঘক্ষণ সময় ধরে কনসার্ট দেশে সচরাচর দেখা না গেলেও আজ সেটাই হল।

মহান বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ শিরোনামে রাজধানী মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে উন্মুক্ত কনসার্টটি আয়োজন করে বিএনপি। এই কনসার্টে নেতাকর্মীরাসহ যোগ দেন সর্বস্তরের মানুষ। লাখো মানুষ মেতে উঠেন বিজয় উল্লাসে।বেলা দেড়টার দিকে জীবন্ত কিংবদন্তী শিল্পী খুরশীদ আলমের কণ্ঠে ‘পাখির নাম দোয়েল, ফুলের নাম শাপলা, দেশের নাম বাংলাদেশ সুফলা সুফলা’ গান দিয়ে শুরু হয় কনসার্ট। পরে গান করেন নাসির খান ও প্রীতম হাসান। বেলা ২টার দিকে মঞ্চে উঠে প্রীতম শোনান ‘খোকা’, ‘হাতে লাগে ব্যথারে’ ও ‘উরাধুরা’। এরপর প্রতিবাদী গান নিয়ে হাজির হন ছাত্র আন্দোলনে ভাইরাল হওয়া শিল্পী মৌসুমী। তার সঙ্গে ছিলেন ইথুন বাবু। এরপরেই গান মঞ্চে ওঠেন আলম আরা মিনু। ‘যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে লক্ষ মুক্তি সেনা’, ‘সোনা দানা দামি গহনা’ গান গেয়ে তিনি মাইক্রোফোন তুলে দেন মনির খানে হাতে। ‘চিঠি’ ও ‘প্রেমের তাজমহল’ গান গেয়ে দর্শক মাতান মানির খান। এরপর ‘তোমায় দেখলে মনে হয়’ ও ‘সাগরিকা’ গান গেয়ে দর্শক মাতার কনকচাঁপা। পরে বাউল গান দিয়ে মঞ্চ মাতান ইলিজা পুতুল, গোলাপি, আলিয়া বেগম ও চিশতি বাউল। এরপর গান করেন সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল, দিলশাদ নাহার কনা, জেফার রহমান। আসিফ আকবরের কণ্ঠে উঠে আসে ‘সবুজের বুকে লাল’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ ও ‘সবাস বাংলাদেশ’ গান। বেবী নাজনীন গেয়ে শোনান ‘আমাদের বাংলাদেশ’ ও ‘বন্ধু তুমি কই’ গান।এরপর একে এক মঞ্চে আসতে থাকে বাংলাদেশের বিখ্যাত ব্যান্ড ‘সোনার বাংলা সার্কাস’, ‘ডিফারেন্ট টাচ’, ‘আর্ক’, ‘শিরোনামহীন’, ‘আর্টসেল’, ‘অ্যাভয়েড রাফা’, ‘সোলস’ ও ‘নগরবাউল’। নিজেদের জনপ্রিয় সব গান গেয়ে দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন ব্যন্ডশিল্পীরা।

রাত পৌনে ১০টার দিকে মঞ্চে উঠেন নগরবাউল জেমস। জনপ্রিয় সব গান গেয়ে দর্শকদের বুদ করে রাখেন গুরুখ্যাত শিল্পী জেমস। ‘কবিতা’ গান গিয়ে শুরুর পর ‘মা’, ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘মীরাবাই’, ‘সুন্দরী তমা’ ‘আসবার কালে আসছি একা’ ও সব শেষে ‘পাগলা হাওয়া’ দিয়ে শেষ করেন।

‘সবার আগে বাংলাদেশ’ নামের সংগঠনটি ১০ ডিসেম্বর আত্মপ্রকাশ করেছে। মূলত বিএনপির উদ্যোগে ও পৃষ্ঠপোষকতায় সংগঠনটি গড়ে উঠেছে। সংগঠনের আহ্বায়ক বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী।

কনসার্ট শেষে আয়োজকরা জানান, অসাধারণ আয়োজন ছিল। ঠিক সময়ে শুরু হয়েছে এবং সময়সূচি অনুযায়ী ঠিক সময়েই শেষ হয়েছে। নিরাপত্তা এবং শিল্পীদের আতিথেয়তা সবকিছুই গোছানো ছিল।(মাহবুবুল ইসলাম)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *