ব্যাট হাতে ভালো শুরু পেলেন প্রায় প্রত্যেকেই। কিন্তু শান মাসুদের মতো লম্বা ইনিংস খেলতে পারলেন না কেউই। তাকে ফলো অন এড়ানো গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি পাকিস্তান। বড় হারও তাই এড়াতে পারেনি সফরকারী দলটি।কেপ টাউন টেস্টে সোমবার চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে ১০ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে প্রোটিয়ারা। পাকিস্তানের দেওয়া ৫৮ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলে স্রেফ ৪৩ বলে।বড় পরাজয়ের শঙ্কায় প্রথম ইনিংসেই পড়েছিল পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার ৬১৫ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯৪ রানে গুটিয়ে ফলো অনে পড়ে দলটি। সেখান থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াকু ব্যাটিংয়ে তোলে ৪৭৮ রান।
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে অনায়াসে ছোট লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ ছক্কা ও ৪টি চারে ৩০ বলে ৪৪ রান করে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফেরেন ডেভিড বেডিংহ্যাম। ১৪ রানে অপরাজিত এইডেন মার্করাম।
দুই টেস্টের সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে ছাড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা। এনিয়ে টানা ৭টি টেস্ট জিতল তারা।
১ উইকেটে ২১৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে পাকিস্তান। দিনের দশম ওভারে খুররাম শাহজাদকে হারায় তারা। মার্কো ইয়ানসেনের একই ওভারের শেষ বলে নতুন ব্যাটসম্যান কামরান গুলামের ক্যাচ নিতে পারেননি প্রথম স্লিপে থাকা বেডিংহ্যাম।
৪ রানে জীবন পাওয়া গুলাম উইকেটে থিতু হয়ে বিদায় নেন ৪টি চারে ২৮ রান করে, কাগিসো রাবাদার শিকার হয়ে। ভাঙে শান মাসুদের সঙ্গে তার ৪৩ রানের জুটি।
আগের দিন সেঞ্চুরি করা মাসুদ পরে সাউদ শাকিলকে নিয়ে বাড়ান দলের রান। ৩ উইকেটে ৩১২ রান নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করে পাকিস্তান।
দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার ১১ বলের মধ্যে দুই থিতু ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেয় প্রোটিয়ারা। শাকিলকে বিদায় করে ৫১ রানের জুটি ভাঙেন রাবাদা। মাফাকার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে থামে মাসুদের ১৭ চারে গড়া ১৪৫ রানের চমৎকার ইনিংস।
চাপে পড়া দলের হাল ধরার চেষ্টা চালান রিজওয়ান ও সালমান। দুইজনে গড়েন ৮৮ রানের জুটি। ৪১ রান করা রিজওয়ানকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কেশাভ মহারাজ। কয়েক ওভার পর অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার ফিরিয়ে দেন ৫ চারে ৪৮ রান করা সালমানকেও।
প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা চালানো আমের জামালও (৭ চারে ৩৪) মহারাজের শিকার। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মির হামজাকে ফিরিয়ে পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে দেন রাবাদা।
ম্যাচের প্রথম দিনে চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়া ওপেনার সাইম আইয়ুব এবারও ব্যাটিংয়ে নামেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন রাবাদা ও মহারাজ।
দু উইকেটর নেন ইয়ানসেনের। দুই ম্যাচেই চমৎকার বোলিং করে সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতে নেন এই পেসার।(মোঃ মিছবাহ উদ্দিন)