পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের সামনের সড়ক থেকে সরে গেছেন শিক্ষার্থীরা।
অস্থায়ী বিশেষ আদালত সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। ১০ ঘণ্টা পর আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তাঁরা সড়ক থেকে সরে যান।
বিডিআর বিদ্রোহের বিচারকাজ আজ এই আদালতে চলার কথা। কিন্তু আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আদালত বসানোর প্রতিবাদ করছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। তাঁরা এই আদালত সরিয়ে নেওয়ার দাবি করছেন।শিক্ষার্থীরা অবরোধের কারণে আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত আদালতের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ ছিল। অবরোধের কারণে আশপাশের রাস্তায় দেখা দেয় যানজট।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা পুলিশের চকবাজার অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মো. মাহফুজার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অস্থায়ী বিশেষ আদালতের বিচারকের সঙ্গে দাবি-দাওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের কথা বলতে দিতে হবে—এই শর্তে তাঁরা রাস্তা থেকে সরে যান। এখন পরিস্থিতি শান্ত। নিরাপত্তা নিশ্চিতে আদালত এলাকায় অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। বিচারক আদালতে এসেছেন।
এর আগে বিভিন্ন সময় আদালতের এজলাস ভাঙচুর করা হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ।
গত ৩১ ডিসেম্বের সন্ধ্যায় একদল লোক মাঠের সীমানাপ্রাচীর টপকে ভেতরে ঢুকে অস্থায়ী বিশেষ আদালতের দরজা ভেঙে ফেলেছিল। তারা ভেতরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছিল। মাঠে থাকা একটি ফোম ও প্লাস্টিকের চেয়ারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। বর্তমানে বাহিনীর নাম বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে হওয়া মামলায় দণ্ডিত সাবেক বিডিআর সদস্যদের কারামুক্তি, মামলার পুনঃ তদন্ত, ন্যায়বিচার নিশ্চিত, চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল-পুনর্বাসনের দাবিতে গতকাল বুধবার অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য-স্বজনেরা এই কর্মসূচি পালন করেন। আজ বৃহস্পতিবার শাহবাগ ‘ব্লকেড’ করা হবে বলে জানিয়েছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা।(মাহফুজুল ইসলাম)