অভিষেকেই বাজিমাত বাংলাদেশের হামজার

বাংলাদেশের হামজা চৌধুরী অভিষেকেই বাজিমাত করেছে। শেফিল্ড ইউনাইটেডের জার্সি গায়ে প্রথম ম্যাচেই কাড়লেন আলো। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার স্বরূপ পেয়েছেন ম্যাচ সেরার স্বীকৃতিও।লাল-সবুজের জার্সি যদিও এখনো গায়ে তুললেনি হামজা চৌধুরী, তবে এখনই বাংলাদেশের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি। তাই লেস্টার সিটি ছেড়ে শেফিল্ডে গেলেও সমর্থকদের চোখ।

সমর্থকদের ভালোবাসার প্রতিদান শেফিল্ডের জার্সিতে প্রথম ম্যাচেই দিলেন হামজা। ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে ডার্বি কাউন্টির বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ের দিনে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি।

এ মৌসুমে লেস্টার সিটির হয়ে বেশির ভাগ সময় হামজাকে বেঞ্চে থাকতে হয়েছে। বদলি হিসেবেও খেলার সুযোগ পেয়েছেন কমই। সম্প্রতি তাকে শেফিল্ড ইউনাইটেডে ধারে খেলতে পাঠায় লেস্টার।

শেফিল্ড কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডার শুরু থেকেই হামজার ওপর আস্থা রাখেন। এদিন শেফিল্ডের শুরুর একাদশে সুযোগ পেয়ে ছিলেন বেশ কার্যকর। রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি আক্রমণভাগে বল ঠেলে দিতে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

হামজা কতটা দাপট দেখিয়েছেন, সেটা তার পারফরম্যান্সের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে। ম্যাচে বল স্পর্শ করেছেন ৬১ বার, ড্রিবলে শতভাগ সফল, নিখুঁত পাস বাড়িয়েছেন ৮০ শতাংশ সময়।

লম্বা করে বল বাড়ানোর চেষ্টায় সফল হয়েছেন চারবার, গ্রাউন্ড ডুয়েলে জিতেছেন পাঁচবার, প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়েছেন তিনবার, ইন্টারসেপশন (প্রতিপক্ষের পাস দেয়া বল আটকে দেয়া) করেছেন দুইবার।

বিপরীতে ডার্বি কাউন্টির কোনো খেলোয়াড় হামজাকে ট্যাকল বা ড্রিবল করতে পারেননি। যার ফলে গুগল ইউজার্সের প্লেয়ার রেটিংয়েও পাঁচের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪.৬ পেয়েছেন হামজা। সমর্থকদের ৭০.৫০ শতাংশ ভোট ছিল তার পক্ষে।

এমন পারফরম্যান্সের পর ম্যাচ শেষে হামজাকে প্রশংসায় ভাসিয়ে কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডার। তিনি বলেন, ‘হামজা হামজার মতোই খেলেছে। প্রতিটি ভূমিকায় সে চেনা ছন্দে ছিল। ভেবেছিলাম ৭০ মিনিট পর তুলে নিব। কিন্তু ওই সময় সে এতটা ভালো খেলছিল যে সেটা আর করা হয়নি।’

এই জয়ে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে ৩০ ম্যাচ শেষে শেফিল্ডের পয়েন্ট ৬১, শীর্ষে থাকা লিডস ইউনাইটেডের ৬৩। এই অবস্থান ধরে রাখতে পারলে আগামী মৌসুমে ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগটিতে ফিরবে শেফিল্ড।(মাহবুবুল ইসলাম)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *