ভেদাভেদ নয় ঐক্যবদ্ধ থাকুন

ভেদাভেদ নয় ঐক্যবদ্ধ থাকুন

রাজনৈতিক দল, সুশীল-বুদ্ধিজীবী, প্রশাসনসহ নির্বাচন সংক্রান্ত স্টেক হোল্ডারদের কাদা ছোড়াছুড়ি না করার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেছেন, নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি করলে হানাহানিতে লিপ্ত থাকলে দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে। গতকাল রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন হলে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা দেশে একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ইলেকশনের দিকে ধাবিত হচ্ছি। তার আগে যে সমস্ত সংস্কার করা প্রয়োজন, অবশ্যই সরকার সেদিকে সহায়তা করবে। আমি যতবারই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি নির্বাচন ইস্যুতে সম্পূর্ণভাবে একমত হয়েছেন। দেয়ার শুড বি ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ইলেকশন অ্যান্ড দ্যাট ইলেকশন শুড বি উইদিন ডিসেম্বর, অর ক্লোজ টু দ্যাট।

জামায়াত, নতুন দল গঠনের উদ্যোগ নেয়া ছাত্র সমন্বয়ক, কিছু সুশীল এমনকি অন্তর্র্বতী সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা পতিত হাসিনার ‘আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র’ থিউরির মতো ‘আগে সংস্কার পরে নির্বাচন’ এবং ত্রায়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের দাবিতে শোরগোল করছেন। আগামী সংসদের আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্বের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবি করছেন। শুধু তাই নয় ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের টার্গেট করা হয়েছে। ডিসেম্বরে ভোট করতে হলে অক্টোবরে তফসিল দিতে হবে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করা সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘জুন মাসের মধ্যে স্থানীয় সরকারের ভোট করতে হলে ১৬ লাখ মৃত ভোটার, ৩৬ লাখ বাদ পড়া ভোটার নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। ফলে নতুন ভোটার তালিকা ছাড়া কোনো ভোটই সম্ভব না। তবে ডিসেম্বরে ভোট করতে হলে অক্টোবরে তফসিল দিতে পারব।’ সিইসির এই বক্তব্যের পরও কেউ কেউ জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের নামে সারাদেশে বিশৃংখলা-হানাহানি পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারা করছেন। এমনিতে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ না করার ইংগিত দিয়েছে। দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ৭ মাসেও স্বাভাবিক হয়নি। ঘরে-ঘরে চুরি-ছিনতাই-ডাকাতি আতঙ্ক। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি এতোই নাজুক যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে রাত ৩টার সময় সংবাদ সম্মেলন করতে হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সর্বমহলের উদ্দেশে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে সময়োপযোগী ও সাহসী বক্তব্য দিলেন।

২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকা-ে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ দিবসে সেনাপ্রধান বলেন, আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, পরে বলবেন যে আমি সতর্ক করিনি। আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, আপনারা যদি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ না করতে পারেন, নিজেদের যদি কাদা ছোড়াছুড়ি করেন, মারামারি-কাটাকাটি করেন, এই দেশ এবং জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। আমি সতর্ক করে দিলাম, নইলে আপনারা বলবেন যে আমি (সেনা প্রধান) আপনাদের সতর্ক করিনি। আমি সতর্ক করে দিচ্ছি আপনাদের।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, আমরা দেশে একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ইলেকশনের দিকে ধাবিত হচ্ছি। আমি প্রথমেই বলেছিলাম যে, ১৮ মাসের মধ্যে একটা নির্বাচন। আমার মনে হয়, সরকার সেদিকেই ধাবিত হচ্ছে। ড. ইউনূস যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন, এ দেশটাকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁকে (ড. ইউনূস) আমাদের সাহায্য করতে হবে, যাতে তিনি সফল হতে পারেন। সেদিকে আমরা সবাই চেষ্টা করব। আমরা একসঙ্গে ইনশাআল্লাহ কাজ করে যাবো।

সেনাপ্রধান হিসেবে সার ‘অন্য কোনো আকাক্সক্ষা’ নেই উল্লেখ করে ওয়াকার উজ জামান বলেন, আমার একটাই আকাক্সক্ষা দেশ এবং জাতিটাকে একটা সুন্দর জায়গায় রেখে বিদায় নেয়া। ‘আই হ্যাড এনাফ লাস্ট সেভেন এইট মান্থস, আই হ্যাড এনাফ।’ আমি চাই, দেশ এবং জাতিকে একটা সুন্দর জায়গায় রেখে আমরা সেনানিবাসে ফেরত (সেনাবাহিনীর ব্যারাকে ফিরে যাওয়া) আসবো।

দেশের এই আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার পেছনে ‘কিছু কারণ আছে’ উল্লেখ করে সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান বলেন, আমরা নিজেদের হানাহানিতে ব্যস্ত, একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে বিষোদগারে ব্যস্ত। এটি অপরাধীদের জন্য একটি চমৎকার সুযোগ। যেহেতু আমরা একটি অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি, তারা (অপরাধীরা) খুব ভালোভাবেই জানে যে এই সময়ে যদি এসব অপরাধ করা যায়, তাহলে এখান থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। সেই কারণে এই অপরাধগুলো হচ্ছে। আমরা যদি সংগঠিত থাকি, একত্রিত থাকি, তাহলে অবশ্যই সম্মিলিতভাবে এটি মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

সেনাপ্রধান বলেন, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই এসব বাহিনী অতীতে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে। তারা খারাপ কাজের সঙ্গে অসংখ্য ভালো কাজ করেছে। আজ যে দেশের স্থিতিশীলতা, দেশটাকে যে এত বছর স্থিতিশীল রাখা হয়েছে, এটার কারণ হচ্ছে, এই সশস্ত্র বাহিনীর বহু সেনাসদস্য, সিভিলিয়ান সবাই মিলে এই অর্গানাইজেশনগুলোকে অসামরিক সামরিক সবাই মিলে, এই অর্গানাইজেশনগুলোকে ইফেক্টিভ (কার্যকর) রেখেছে। সেজন্য এতদিন ধরে আমরা একটা সুন্দর পরিবেশ পেয়েছি। এর মধ্যে যারা কাজ করেছে, যদি কেউ অপরাধ করে থাকে, সেটার শাস্তি হবে। অবশ্যই শাস্তি হতে হবে। না হলে এই জিনিস (অপরাধ) আবার ঘটবে। আমরা সেটাকে চিরতরে বন্ধ করতে চাই। কিন্তু তার আগে মনে রাখতে হবে, আমরা এমনভাবে কাজটা করবো, এই সমস্ত অর্গানাইজেশনগুলো যেন আন্ডারমাইনড না হয়।

ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের সাড়ে ৬ মাস পরও পুলিশ বাহিনীকে পুরোপুরি কার্যকর করতে না পারার পেছনের কারণ উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, আজকে অনেক পুলিশ সদস্য কাজ করছে না। একটা বিশাল বড় কারণ হচ্ছে, অনেকের বিরুদ্ধে মামলা, অনেকে জেলে। র‌্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই প্যানিকড (আতঙ্কিত)। বিভিন্ন দোষারোপ, গুম, খুন ইত্যাদির তদন্ত চলছে। অবশ্যই তদন্ত হবে, দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, এমনভাবে কাজটা করতে হবে যেন এই অর্গানাইজেশনগুলো আন্ডারমাইনড না হয়। এই অর্গানাইজেশনগুলোকে যদি আন্ডারমাইনড করে আপনারা মনে করেন যে, দেশের শান্তি-শৃংখলা বিরাজ করবে, সবাই শান্তিতে থাকবেন, এটা হবে না। সেটা সম্ভব না, আমি আপনাদের পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি।

‘আইনশৃংখলা রক্ষার দায়িত্ব শুধু সেনাবাহিনীর নয়’ এ বাস্তবতা সকলকে স্মরণ করে দিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, এই দেশের শান্তি-শৃংখলা রক্ষার দায়িত্ব শুধু সেনাবাহিনীর নয়। ২ লাখ পুলিশ আছে, বিজিবি আছে, র‌্যাব আছে, আনসার ভিডিপি আছে; আমার আছে হচ্ছে ৩০ হাজার সৈন্য। এদের আমি এই যে একটা বিরাট ভয়েড (শূন্যতা), আমি এই ৩০ হাজার সৈন্য দিয়ে কীভাবে এটা পূরণ করবো? ৩০ হাজার থাকে, আবার ৩০ হাজার চলে যায়, ক্যান্টনমেন্টে আরো ৩০ হাজার আসে, এটা দিয়ে আমরা দিন-রাত চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখানে যে সমস্ত উচ্ছৃৃঙ্খল কাজ হয়েছে, সেটা আমাদের নিজস্ব তৈরি। এটা আমাদের নিজস্ব ম্যানুফ্যাকচারড। আমরা এগুলো তৈরি করেছি। এই বিপরীতমুখী কাজ করলে দেশে কখনো শান্তি-শৃংখলা আসবে না। এই জিনিসটা আপনাদের মনে রাখতে হবে। তদন্ত কমিশন হচ্ছে আবার আরেকটা, আমরা সর্বদা চেষ্টা করবো তদন্ত কমিশনকে সহায়তা করতে। যে ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা প্রয়োজন হয়, আমরা করবো।

দেশবাসীর সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, আসুন, আমরা নিজের নিজেদের মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি না করে, আমরা উই ইউনাইট আওয়ারসেলফ থাকি। দেশ-জাতি যেন একসঙ্গে থাকতে পারে, সেদিকে আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের মধ্যে মতের বিরোধ থাকতে পারে, চিন্তা-চেতনার বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু দিন শেষে যেন আমরা সবাই দেশ এবং জাতির দিকে খেয়াল করে, আমরা যেন এক থাকতে পারি। তাহলে এই দেশটা উন্নত হবে। এই দেশটা সঠিক পথে পরিচালিত হবে। না হলে আমরা আরো সমস্যার মধ্যে পড়তে যাবো। তিনি বলেন, বিশ্বাস করুন, উই ডোন্ট ওয়ান্ট টু হেড, ওইদিকে আমরা যেতে চাই না। আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি। পরে বলবেন যে আমি সতর্ক করিনি। দেশে সুখে-শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা চাই না হানাহানি, কাটাকাটি, মারামারি। সেই উদ্দেশে আমি, আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতি আক্রমণ করবেন না।

সামরিক বাহিনীর প্রতি অনেকে অকারণে বিদ্বেষ ছড়ানোর বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, একটা কমন জিনিস আমি দেখতে পাচ্ছি, সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধানের প্রতি বিদ্বেষ কারো কারো। কী কারণে এই বিদ্বেষ আজ পর্যন্ত আমি এটা খুঁজে পাইনি। আমরা হচ্ছি একমাত্র ফোর্স, যেটা আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, দাঁড়িয়ে আছি প্ল্যাটফর্মে। অফকোর্স নেভি অ্যান্ড এয়ারফোর্স, নেভি চিফ আবার মন খারাপ করে বা করছে! নেভি, এয়ারফোর্স অল, উই অল আমাদের সাহায্য করেন। আমাদের আক্রমণ করবেন না, আমাদের অনুপ্রাণিত করুন, আমাদের উপদেশ দিন। কোনো একটা সমস্যা হয়ে গেলে আমি নুরুদ্দিন স্যারের [লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) নুরুদ্দিন খান ১৯৯০-১৯৯৪ সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন] শরণাপন্ন হই। উনি আমাকে উপদেশ দেন, সিনিয়র জেনারেলরা আমাকে উপদেশ দেন। আমি সবার কাছে শরণাপন্ন হই। আমাদের প্রতি আক্রমণ করবেন না। উপদেশ দিন, আমরা অবশ্যই ভালো উপদেশ গ্রহণ করবো। আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই এবং দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

পিলখানা হত্যাকা-ের বিচারিক প্রক্রিয়াকে নষ্ট না করার আহ্বান জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, একটা জিনিস আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে, এই বর্বরতা কোনো সেনাসদস্য করেনি। সম্পূর্ণটাই তদানীন্তন বিডিআর সদস্য দ্বারা সংঘটিত। ফুলস্টপ। এখানে কোনো ‘ইফ’ এবং ‘বাট’ (যদি ও কিন্তু) নেই। এখানে যদি ‘ইফ’ এবং ‘বাট’ আনেন, এই যে বিচারিক কার্যক্রম এত দিন ধরে হয়েছে ১৬ বছর ধরে, ১৭ বছর ধরে যারা জেলে আছে, যারা কনভিকটেড, সেই বিচারিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। এই জিনিসটা আমাদের খুব পরিষ্কার করে মনে রাখা প্রয়োজন। এই বিচারিক প্রক্রিয়াকে নষ্ট করবেন না। যে সমস্ত সদস্য শাস্তি পেয়েছে, তারা শাস্তি পাওয়ার যোগ্য।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আজকে একটা বেদনাবিধুর দিবস। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আমরা এই ৫৭ জন চৌকস সেনা অফিসার এবং শুধু তাই নয়, তাদের কিছু কিছু পরিবারের সদস্যদের আমরা হারিয়েছি। এখানে আসার সময় এই ছবিগুলো আমি দেখছিলাম। এই ছবিগুলো আপনারা অনেকে ছবিতে দেখেছেন। কিন্তু এগুলো আমার সব চাক্ষুষ দেখা। আমি একটা চাক্ষুষ সাক্ষী এই সমস্ত বর্বরতার।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, এখানে কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এর মধ্যে উপস্থিত ছিল কি না, ইনভলভ ছিল কি না, বাইরের কোনো শক্তি এর মধ্যে ইনভলভ ছিল কি না, সেটার জন্য কমিশন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান এখানে আছেন। উনি এটা বের করবেন এবং আপনাদের জানাবেন। বটমলাইন হচ্ছে যে, আমাদের এই চৌকস সেনাসদস্য, যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তারা প্রাণ হারিয়েছেন তদানীন্তন বিডিআর সদস্যদের গুলিতে। আমরা নিজেরা এসব জিনিস নিয়ে অনেক ভিন্নমত পোষণ করছি কেউ কেউ। এই জিনিসটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছি। সেটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।

অনুষ্ঠানে নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, রাওয়ার চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল হক, পিলখানা হত্যাকা-ের শহীদ পরিবারের সদস্যরা, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।(মোঃ আব্দুল বাতেন)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *