ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে ট্রাম্পের স্পষ্ট বার্তা, নারী-পুরুষ ছাড়া অন্য লিঙ্গের ঠাঁই হবে না

মার্কিন কংগ্রেসের প্রথম যৌথ অধিবেশনে ট্রাম্পের ভাষণে উঠে এসেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যার মধ্যে অন্যতম লিঙ্গ পরিচয়। ফের একবার তিনি ঘোষণা করলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কেবলমাত্র দুই লিঙ্গের মানুষের ঠাঁই হবে, নারী এবং পুরুষ। খবর এনডিটিভি।ওই অধিবেশনে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যেই একটি সরকারি নীতি তৈরি করেছি। আমাদের দেশে কেবলমাত্র দু’ধরনের লিঙ্গের মানুষ থাকবেন। নারী এবং পুরুষ। স্কুলগুলো থেকে জাতিতত্ত্বের বিষ মুছে ফেলা হয়েছে।’

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, এই বক্তব্যের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলগুলো থেকে জেন্ডার স্টাডিজ তুলে দেওয়ার পক্ষে জোরাল বক্তব্য রাখলেন ট্রাম্প।

তার শাসনকালে আমেরিকায় জাগরণবাদ (Wokeism) ঘটবে না, স্পষ্ট জানিয়ে ট্রাম্প এ দিন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আপনি ডাক্তারই হন, অ্যাকাউন্ট্যান্টই হন অথবা আইনজীবী বা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার হন, আপনার নিয়োগ এবং পদোন্নতি হবে মেধার ভিত্তিতে। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্থান দখল করতে হবে আপনাকে। কোনোভাবেই লিঙ্গ পরিচয় এবং জাতি পরিচয়কে প্রাধান্য দেওয়া হবে না।’

ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, ক্ষমতায় এলে LGBTQ+-এর ‘পাগলামো’ বন্ধ করবেন। বাস্তবে ঘটছেও তেমনটাই। নারী ও পুরুষ ছাড়া আর কোনো সর্বনাম ব্যবহার করা যাবে না যুক্তরাষ্ট্রে, সাফ জানিয়েছেন দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা নেওয়া এই প্রেসিডেন্ট। মার্কিন সামরিক বাহিনীতে আর কোনো ট্রান্সজেন্ডার নিয়োগ করা হবে না, এমনটাও ঘোষণা করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, যুক্তরাষ্ট্রে সেনায় কর্মরতদের লিঙ্গ পরিবর্তন ও সেই সংক্রান্ত কোনো সুযোগ সুবিধাও আর দেওয়া হবে না।

দ্বিতীয়বারের জন্য হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করার পরই গত ২৭ জানুয়ারি রূপান্তরকামীদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রূপান্তরকামীদের জন্য এর আগে সরকারি নথিতে পৃথক লিঙ্গের ব্যবস্থা নিয়ে নীতি চালু করেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসতেই ওই নীতি বদলের অঙ্গীকার করেছেন।(মাহবুবুল ইসলাম)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *