পর্দা নেমেছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। সবকিছুকে ছাপিয়ে টুর্নামেন্টে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল ভারতের একই মাঠে খেলা প্রসঙ্গ। এ নিয়ে ভারতীয়দের সমালোচনা করেছেন ক্রিকেটের কিংবদন্তিদের থেকে শুরু করে বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটাররাও। ভারতের শুধুমাত্র দুবাইয়ে খেলার প্রসঙ্গে এবার আইসিসির কড়া সমালোচনা করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার অ্যান্ডি রবার্টস।চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে সামনে রেখে ভারতীয় দলকে স্বাগতিক পাকিস্তানে ভ্রমণে অনুমতি দেয়নি দেশটির সরকার। তাই নানা জলঘোলার পর সিদ্ধান্ত হয় টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হবে হাইব্রিড মডেলে। হলোও তাই। তবে টুর্নামেন্টের আগে যেসব ভাবা হয়নি, তা চোখে পড়ে টুর্নামেন্ট চলাকালীন। যেখানে অন্যান্য দলগুলো এক ভেন্যু থেকে অন্য ভেন্যুতে ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত, সেখানে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে একপ্রকার আরামেই ম্যাচ খেলে যাচ্ছে ভারত। এমনকি ভারতীয় দলের জন্য ‘এ’ গ্রুপের দলগুলোর পর সেমিফাইনাল ও ফাইনালে দলগুলোকে করতে হয় বাড়তি ভ্রমণ। এসব প্রসঙ্গে সরব হন ইংল্যান্ডের সাবেক দুই অধিনায়ক নাসের হুসাইন ও মাইকেল আথারটন। ভারত যে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে সেটি বুঝতে রকেটবিজ্ঞানী হবার প্রয়োজন নেই, এমনটা দাবি করেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাসি ভ্যান ডার ডুসেন।
এসব সমালোচনা ও সমালোচকদের ‘ছিঁচকাঁদুনে’ বলেও জবাব দেন ভারতীয় কোচ গৌতম গম্ভীর। এবার আর ভারতকে কিছু বললেন না অ্যান্ডি রবার্টস, তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাকে (আইসিসি) একহাত নিয়েছেন তিনি। ভারতীয় পত্রিকা মিড ডেকের এক সাক্ষাৎকারে দু’বারের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘এর একটা বিহিত হওয়া দরকার। ভারত তো সবকিছু পেতে পারে না। কিছু কিছু সময় আইসিসি’র উচিত ভারতকে না বলা।
সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাড়তি সুবিধা পেয়েছে। সেমিফাইনালে উঠলে কোথায় খেলবে, সেটি তারা আগে থেকেই জেনে যায়। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতকে ভ্রমণই করতে হলো না। কোনো টুর্নামেন্টে একটি দল কীভাবে ভ্রমণ না করে থাকত পারে?’ আইসিসি আর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) ইদানীং একই মনে হয় রবার্টসের। ৭৪ বছর বয়সী সাবেক পেসার যোগ করেন, “আমার কাছে আইসিসি মানে হলো ইন্ডিয়ান ক্রিকেট বোর্ড। ভারতই তো সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। কাল যদি ভারত বলে যে, ‘শোনো, নো বল আর ওয়াইড বল থাকার প্রয়োজন নেই’, আমি বলছি, ধরে নেন যে আইসিসি ভারতের দাবি মেনে নিতে কিছু একটা বের করে ফেলবে।”(মোঃ আব্দুল বাতেন)